অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে রজব তাইয়্যেব এরদোগানের নেতৃত্বাধীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) ২৩ লাখ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে।
তুরস্কের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে এখন পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ৪৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারওগ্লুর প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে সিনান ওগান নামে তৃতীয় অপর প্রার্থী এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট।
তুরস্কের ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, এরদোগান পেয়েছেন ২ কোটি ৬৬ লাখ ২১ হাজার ৩৮৫ ভোট, কামাল কিলিচদারওগ্লু ২ কোটি ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮২ আর সিনান ওগান পেয়েছেন ২৮ লাখ ১৭ হাজার ১৩৩ ভোট।
প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর রোববার গভীর রাতে আঙ্কারায় পার্টির সদরদফতরে বক্তৃতাকালে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন,‘আমি প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থীর চেয়ে ২.৬ মিলিয়ন ভোটে এগিয়ে আছি। সরকারি ফলাফলে তার ব্যবধান আরো বাড়বে। আমি বিশ্বাস করি,আমরা প্রথম রাউন্ডেই জয়ী হব।’
এই নির্বাচনে যদি কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না জিততে পারেন তাহলে দুই সপ্তাহ পর অর্থাৎ আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন (রান অফ) অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া এরদোগান ও কামাল।
দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হলে তাতে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারওগ্লু। তিনি বলেছেন,‘আমরা এই নির্বাচনে দ্বিতীয় রাউন্ডে জিতব’। খুব সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন,‘প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জনগণের কাছ থেকে আস্থার ভোট পাননি। সমাজে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ৫০ শতাংশের বেশি।’
এদিকে, তুর্কি সংসদের ৬০০ আসনের মধ্যে এরদোগানের জোট ৩২৪টিতে জয়ী হতে যাচ্ছে। আর বিরোধী কিলিচদারুগ্লুর নেতৃত্বাধীন ছয় দলীয় ন্যাশন অ্যালায়েন্স পেতে পারে ২১১টি আসন। এছাড়া কুর্দিপন্থী গ্রিন লেফট পার্টির নেতৃত্বাধীন লেবার অ্যান্ড ফ্রিডম অ্যালায়েন্স ৬৫টি আসন পেতে পারে।
Leave a Reply